ভারতে চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে সতর্ক বিজিবি
যশোরের বেনাপোলসহ শার্শার সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বেনাপোল সীমান্তের কয়েকটি এলাকা ঘুরে চোখে পড়ে বিজিবির বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সতর্কতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা।
জানা যায়, বর্তমানে দেশে এবার চামড়ার বাজারমূল্য খুব কম। অনেক সময় কেনা দামেও ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারছে না। সরকারি দামে কেনাবেচায় সাড়া থাকে না। ফলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন এ সময়টায় চামড়ার দাম ভারতে একটু বেশি থাকে। সেজন্য বেশি মুনাফার আশায় চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাঁচ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৩৫০ থেকে ৪০০ এবং ১০ মণ গরুর চামড়া ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ মণ ওজনের কোরবানি গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৬০০ রুপি ও ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া প্রতি পিস ৮০০ থেকে এক হাজার রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে বিশেষ একটি সূত্র জানায়।
৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা জানান, যশোরের যেসব সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের সম্ভবনা থাকে সেসব এলাকা বেশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেমন বেনাপোলের গাতীপাড়া, বড় আচড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, পুটখালী ও শার্শার গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা এবং শাহজাতপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল বাগে জান্নত কওমি মসজিদের খাদেম আব্দুল ওহাব বলেন, ‘এলাকার মানুষ তাদের কোরবানির পশুর চামড়া দান করেছেন। কিন্তু চামড়ার দাম এবার খুবই কম। গরুর চামড়া ছোট বড় মিলে গড়ে সাড়ে চারশ টাকা দাম পেয়েছি। গত দুই বছর আগে চামড়ার দাম ছিল ৭০০ টাকা পর্যন্ত। ছাগলের চামড়ার দাম হয়েছে প্রতি পিস ২০ টাকা।’
বিজিবির ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি পোস্টে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। বিশেষ করে রাতে টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। যাতে কেউ অবৈধভাবে ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে। সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তগুলো চিহ্নিত করে টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবত থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।