ভারতে দুই বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১২ নারী
চাকরির আশায় ভারতে গিয়ে দুই বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরেছেন ১২ নারী। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন।
ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে।
ভালো কাজের আশায় অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এসব নারীরা। তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেওয়ার জন্য জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি নামের দুটি এনজিও সংস্থার কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরত আসা নারীরা হলেন সাতক্ষীরা সদরের সুইটি গাজী, যশোর রাজারহাট মুড়লী এলাকার শরিফা বিবি, অভয়নগর উপজেলার ধুলগ্রামের মাহফুজা বেগম, নরসিংদীর মনোহরদি খারাবো গ্রামের সুমি ও মিতু খাতুন, বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার নলুয়া গ্রামের শায়লা আক্তার ও সেলিনা আক্তার, খুলনার খালিশপুর থানার বয়রা এলাকার আসমা বেগম, পাইকগাছা উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের নার্গিস বেগম, নাটোরের বরইগ্রাম থানার নাজিরপুর গ্রামের মুক্তি আক্তার, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর এলাকার সোলেমানপুর গ্রামের নাজমা খাতুন, মানিকগঞ্জ সদরের চায়না বেগম।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ‘‘দুই বছর আগে ভালো কাজের আশায় এই নারীরা দালালের মাধ্যমে ভারতের হায়দ্রাবাদ যায়। দালালরা তাদের কোনো কাজ না দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের দুই বছরের সাজা হয়। সাজা শেষে ‘প্রোজ্বলা’ নামে একটি শেল্টার হোমে তাদের হেফাজতে রাখা হয়। ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ তাঁরা দেশে ফিরে আসেন।’
ফিরে আসা নারগিস বেগম বলেন, ‘আমি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। আমার বাবা-মা নেই। ছোট দুটি ভাই-বোন আছে। তাদের ভরণপোষণ ও লেখাপড়ার জন্য ভালো রোজগারের আশায় দালালের মাধ্যমে ভারত যাই। কিন্তু দালালরা আমাদের ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। দুই দেশের সরকারের বিশেষ সহায়তায় আজ দেশে ফিরে আসি।’