ভারতে পালাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলো পূর্ণিমা হত্যা মামলার আসামি
দশম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমাকে ধর্ষণের পর গলায় বৈদ্যুতিক তার পেচিয়ে হত্যা করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসামি পার্থ মণ্ডলকে।
সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান আজ রোববার তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, গতকাল শনিবার রাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাতক্ষীরার বৈকারি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্থকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সরল স্বীকারোক্তি দিয়ে জানিয়েছে কেন এবং কীভাবে প্রেমিকা পূর্ণিমাকে খুন করেছে। তার বাড়ি দেবহাটা উপজেলার টিকেট গ্রামে। তিনি কালিগঞ্জ প্যারা মেডিকেলের প্রথম বর্ষের ছাত্র। নিহত পূর্ণিমা দাস টিকেট গ্রামের শান্তি রঞ্জনের মেয়ে। সে গাভা স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, টিকেট গ্রামের স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা দাসের সঙ্গে পার্থর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে পার্থ মণ্ডল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিল। এ সময় প্রেমিকা অন্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে জানতে পারে সে। এরপর থেকে তিনি তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে বলে স্বীকার করেছে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ণিমা তার স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে গেলে তাকে ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে ডেকে নেন পার্থ। পরে তাকে একটি জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। এর পর তার গলায় বৈদ্যুতিক তার পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন পার্থ।
উল্লেখ্য, পূর্ণিমা ও তার বোন নদী পার হয়ে একসঙ্গে নিয়মিত প্রাইভেট পড়তে যায়। গত শুক্রবার সকালে বড়বোন দশম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমার হাতপা বাঁধা এবং গলায় ওড়না পেঁচানো বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয় একটি বাগান থেকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কোনো এক সময় এ হত্যার ঘটনা ঘটে টিকেট গ্রামে।
লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। এরপর এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় একটি মামলা করা হয়।