ভারতে পালানোর আগে কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেপ্তার
আত্মগোপনে থাকা খুনের আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার একদিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম শহরের কর্ণফুলী সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে খুনের এ আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার তারেক হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি কিশোর গ্যাং লিডার মোহাম্মদ জুয়েল (২৩)। তার বাড়ি ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ কেওচিয়া এলাকায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু বলেন, ‘তারেক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামি জুয়েলকে ধরার জন্য পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। শেষমেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মাত্র একদিন আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।’
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন জুয়েল। উপজেলার একই ইউনিয়নের মুহুরীপাড়ার সিদ্দিক আহমদের ছেলে তারেককে খুনের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন তিনি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, তারেককে খুন করার পর জুয়েল আত্মগোপনে চলে যান। পরে ঢাকায় অবস্থান করে পাশের দেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। ভারতে চলে যাওয়ার আগের দিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসে বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগেই পুলিশের জালে বন্দি হন তিনি।’
ওসি জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে তারেক খুনের ঘটনায় মোট তিন আসামি গ্রেপ্তার হলো। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান ওসি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় খোর্দ কেওচিয়ার নুনু ফকরিহাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নিহত হন তারেক। আহত হন আরও দুই যুবক। এ ঘটনায় তারেকের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়। সেই মামলার এজাহার নামীয় আসামি এই জুয়েল।