ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরল ২৩ নারী-শিশু
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরল ২৩ বাংলাদেশি নারী ও শিশু। ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে হস্তান্তর করে।
পাচার হয়ে যাওয়া এসব নারী শিশুদের সাজার মেয়াদ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়। ফেরত আসা ২৩ জনের মধ্যে ৯ জন শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল, যশোর, বাগেরহাট, পাবনা, নোয়াখালী ও কক্সবাজার জেলায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারি শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি জানান, পাচাররোধে দুই দেশের সরকার সার্বক্ষণিক যৌথভাবে কাজ করছে। পাচাররোধে সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষের সহয়তা প্রয়োজন।
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ‘অভাবের কারণে দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধপথে ভারতে যান তারা। কলকাতা শহরে বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশ তাদের আটক করে। পুলিশ তাদের আদালতে সোপর্দ করলে কলকাতা আদালত তাদের তিন বছরের সাজা দিয়ে জেলে পাঠায়। সাজার মেয়াদ শেষে সেখানকার সুকর্না, কিশোলয়া নামে দুটি বেসরকারি সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আইনে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।’
ওসি রাজু আহমেদ বলেন, ‘সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল বন্দর থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অভিভাবকদের কাছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, জেলা মহিলা আইনজীবী সমিতি ও রাইটস যশোর তাদের শেল্টার হোমে রাখার জন্য থানা থেকে নিয়ে গেছে।’