ভারত থেকে আগামী মাসে বিদ্যুৎ আসবে : নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘ভারতের আদানির গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে। আদানির বিদ্যুৎ আসা নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই।’
আজ রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভারতের আদানি গ্রুপের উৎপাদিত বিদ্যুৎ মার্চেই আমাদের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। দাম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এ বিদ্যুতের দাম পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে বেশি হবে না।’ এ ছাড়া আদানির দ্বিতীয় ইউনিট থেকে এপ্রিলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ পাবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা প্রতিযোগিতামূলক বাজার দরেই বিদ্যুৎ পাব। এ নিয়ে কোনো সংশয়ের সুযোগ নেই। মার্চে প্রথম ইউনিট থেকে আসবে ৭৫০ মেগাওয়াট। এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আসবে আরও ৭৫০ মেগাওয়াট।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আসছে সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আমাদের বেশ কিছু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। রামপাল এসেছে, এসএস পাওয়ার আসবে, বরিশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র আসবে। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নিয়েছি, সেচ মৌসুম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্পর্ট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ বেড়ে যাবে। স্পর্ট মার্কেট থেকে ৮ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনার রয়েছে।’
নসরুল হামিদ আরও বলেন, ‘আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করছি। যার জন্য গ্যাসও আমরা বৃদ্ধি করছি। গ্যাসের দাম কিছুটা স্থিতিশীল। আমরা শিল্পে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করছি, বিদ্যুতেও গ্যাসের পরিমাণ বাড়াব, যাতে ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চসহ বিদ্যুতের অবস্থা ভালো থাকে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, সেগুলো একটার পর একটা আসা শুরু হবে। আমরা আশা করছি, রামপালও চলে আসবে। আমরা আশা করছি, বরিশালের ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে আসবে।’