ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁদের সামরিক সচিবেরা। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী। এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...’ বাজানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট আ্যট আর্মস কমডোর মিয়া মোহাম্মদ নাইম রহমান। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনির নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতৃবৃন্দ।
এরপর পর্যায়ক্রমে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ মো. আবদুল হান্নান শহীদ মিনারে ফুল দেন।
এরপর পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুুজিবুল হকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্যানেল মেয়র। একে একে আরো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মো. আমিন উদ্দিন, ১৪ দল নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, পুলিশের পক্ষ থেকে আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, ফায়ার সার্ভিস, এফবিসিসিআই, গণসংহতি আন্দোলন, বাসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, জগন্নাথ হল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন, ন্যাপ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ সমাজবাদী দল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ছাড়াও একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনারের বেদি। এরপর জনসাধারণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।