ভিকারুননিসার দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিন্নাত আরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হিমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হিমেল বলেন, ‘মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে বদলি হয়ে এই আদালতে আসে। গত ২৮ মার্চ ধার্য দিনে আসামিরা হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ১৮ এপ্রিল মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।’
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষিক হাসনাহেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। এরপর বিচারক অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অরিত্রী নকল করেছে—এমন অভিযোগ তুলে তার মা-বাবাকে স্কুলে নিয়ে যেতে বলা হয়। অরিত্রী তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরের বাসায় ফিরে বাবা দিলীপ অধিকারী দেখেন, অরিত্রী নিজের কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস নেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা করেন।