ভূমিসেবা কার্যক্রম বিনিয়োগবান্ধব করা হচ্ছে : ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, দেশে সহজে ব্যবসার সুযোগ বাড়াতে ভূমিসেবা কার্যক্রম আরও সহজ ও বিনিয়োগবান্ধব করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ভূমি মন্ত্রণালয় সঙ্গে এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী একথা বলেন। ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শিল্পে বিনিয়োগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ভূমি। আমাদের এমন জায়গায় ভূমিসেবা ব্যবস্থাপনা নিয়ে যেতে হবে যেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও চালানোর সময় ভূমি বিষয়ক প্রয়োজনীয় ও প্রযোজ্য আনুষ্ঠানিকতা যেমন নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর কিংবা বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া ইত্যাদি দেখে প্রশংসা করছেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এজন্য দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে ‘সহজে ব্যবসার সুযোগ’-এর সূচকে দেশকে আরও অনেক ধাপ এগিয়ে যেতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার আওতাভুক্ত বিদ্যমান সকল গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান, লিমিটেড কোম্পানি, রপ্তানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানি থেকে কোম্পানির নামে নামজারি সাতদিনে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছি। এই ব্যবস্থা প্রয়োজনে আরও সম্প্রসারণ করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উইসিস পুরস্কার এবং ইউনাইডেট ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড অর্জনকে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঠিক পথচলার নির্দেশক বলে মন্তব্য করেন ভূমিমন্ত্রী। উপস্থিত দপ্তর/সংস্থা প্রধানদের এপিএ টার্গেট পূরণ করার জন্য প্রয়োজনে ‘টপ-ডাউন' মেথডে ‘আউট-অফ-দ্য-বক্স’-এ এসে কাজ করার পরামর্শ দেন ভূমিমন্ত্রী। ভূমি সচিব এসময় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. আরিফ ও হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) দপ্তরের হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) মো. মশিউর রহমান নিজ নিজ দপ্তর, সংস্থার পক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।