ভৈরবকে জেলা করার ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবিতে জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ভৈরবকে জেলায় উন্নীতকরণের সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবির মধ্য দিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি আলহাজ জিল্লুর রহমানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। দিবসটি পালনে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল দলীয় কার্যালয়ে কোরআনখানি, দলীয় ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা, নেতাকর্মীদের কালোব্যাজ ধারণ, জিল্লুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
আজ শনিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয় চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নবনির্বাচিত মেয়র আলহাজ ইফতেখার হোসেন বেনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা জিল্লুর রহমানের শেষ ইচ্ছা ভৈরবকে জেলায় উন্নীত করার স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়নের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এ সময় তারা বলেন, তথাকথিত ১/১১-এর সরকারের সময় জিল্লুর রহমানের ‘নো হাসিনা, নো ইলেকশন’—এই দাবির মুখে কারাবন্দি শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিয়ে তাঁকে নিয়ে নির্বাচনে যেতে বাধ্য হন। আর সেই নির্বাচনে জয়ী হয়েই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। যার ধারাবাহিকতা আজও আছে।
বক্তারা বলেন, জিল্লুর রহমানের সেই অবদানকে নিশ্চয় জাতির জনকের কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুলে যাননি। তাই জিল্লুর রহমানের ‘শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ভৈরবকে জেলায় উন্নীত করব—ইনশা আল্লাহ’ এই ঘোষণাকে, ভৈরববাসীকে দেওয়া তাঁর প্রতিশ্রুতি, তাঁর শেষ স্বপ্ন বাস্তবায়নের তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে তাঁরা আশা করেন।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ভৈরববাসী লড়াই-সংগ্রামে অধিকার আদায় করা মানুষ। সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু করে, স্বাধীনতা যুদ্ধ অবধি প্রতিটি লড়াই-সংগ্রামে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছেন ভৈরবের কৃতী সন্তানরা। তাদের প্রজন্ম হিসেবে অধিকার আদায় করার মন্ত্র তাদের জানা আছে। তাই অধিকার আদায়ে রাজপথে নামার আগে তারা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন। অন্যথায় রাজপথের দখল নেওয়া ছাড়া তাদের অবশিষ্ট থাকবে না। এ সময় তারা জেলা আদায়ে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে নেতা-কর্মীসহ ভৈরববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
পরে মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বাদ মাগরিব ভৈরব প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।