ভৈরবে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ
ভৈরবের গজারিয়া ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি বাড়ি ও ধানী জমিতে। আজ রোববার (৭ মে) সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গতকাল শনিবার রাতে গজারিয়া গ্রামের কাসেম মিয়া দলবল নিয়েতাঁর শ্বশুরবাড়ি বাঁশগাড়ী গ্রামে গেলে ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। সেটি একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় গজারিয়া গ্রামের মোস্তুফা মিয়ার ছেলে কাসেম (৩০), জালাল উদ্দিনের ছেলে মোরাদ (২৬) ও অহিদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার (৩০) আহত হন। রাতেই এলাকাবাসী তাঁদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে কাসেমের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ এ ঘটনার জেরে দীর্ঘ চার ঘণ্টা বাঁশগাড়ী ও গজারিয়া গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আরও ১৫ থেকে ১৬ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, একই বংশের রফিক ও শহীদ মিয়ার চাচা তোতা মিয়ার মেয়ের জামাই গজারিয়া এলাকার কাসেম তাঁর শ্বশুরবাড়িতে দলবল নিয়ে গিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। পরে মেম্বারবাড়ির লোকজন জামাই কাসেম মিয়া ও তাঁর দলবলের উপর আক্রমণ করে । পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কাসেম মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আজ সকাল ১০টা থেকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের বেশ কিছু শিশু, নারী-পুরুষ আহত হয়। আহতরা হলেন নজরুল (২২), বাবু (১৩), মোস্তফা (৩৮), সিরাজ (৪০), দানিস (২৫), কবির (৪৫), জাকারিয়া (৫০), ইয়াহিয়া (২১), ইমন (২২), রিনা (৪৫), চাঁন মিয়া (১৮), জিল্লু (৫৫), সাইজ উদ্দিন (৪০), রুবেল (৩০), গিয়াস উদ্দিন (৭৬)। এদের মধ্যে কবির কাজী ও মোস্তুফাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ভৈরব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, গজারিয়া গ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।