ভৈরবে পলিতে ব্যাহত নৌ-যোগাযোগ, সংকটে মৎস্যসম্পদ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এ এলাকার প্রধান প্রধান নদ-নদী ও খাল-বিল। এতে ব্যাহত হচ্ছে নৌ-যোগাযোগ ও সেচ ব্যবস্থা। সংকটে পড়েছে মৎসসম্পদ। বিলুপ্তির পথে জলজ জীব-বৈচিত্র্য। এদিকে, নৌ-যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় বেড়ে গেছে যাতায়াত খরচ। আর যাতায়াত খরচের দোহায় দিয়ে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ কৃষিপণ্যের দামও। ফলে দ্রুত নদ-নদী, খাল খননের দাবি এলাকাবাসীর।
জানা যায়, মেঘনা, ব্রক্ষ্মপুত্র, কালী নদীর বুকচিরে জেগে ওঠা হাওরের প্রবেশমুখ বলে খ্যাত জনপদ ভৈরব বহু নদ-নদী, খাল-বিল ও নালা দিয়ে বেষ্টিত। এখনও এই অঞ্চলের প্রধান আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ মাধ্যম নৌপথ।
সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকার মেঘনা, ব্রক্ষ্মপুত্র, কালীসহ শীতলপাটি, কোদালকাটি, কামাল সরকারখাল, সূতিরবিল ইত্যাদি পলি জমে প্রায় ভরাট হতে বসেছে। এতে নৌ-যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। বর্ষা মৌসুমের দু’তিন মাস ছাড়া বাকি সময় এই জলধারাগুলো প্রায় মৃত থাকে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে দেশীয় প্রজাতির মৎস্যসম্পদ। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কচ্ছপ, ব্যাঙ, বক, মাছরাঙা, চিল, বালিহাঁস ইত্যাদি। এদিকে, পলি পড়ে নদী, খাল, বিলে পানি কমে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে উৎপাদিত কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় বেড়েছে ব্যয়। গ্রামীন অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়েছে। ফলে পলি অপসারণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে নদ-নদী পলিতে ভরাটের বিষয় স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে এখানকার নদ-নদী, খাল-বিলগুলি খনন করা হবে। এরই মধ্যে কয়েকটি খননের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।’