ভৈরবে হত্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গৃহবধূ তানজিনা আক্তার (৩০) হত্যা মামলাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বামীর পরিবার। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মলনে বক্তব্য দেন নিহত গৃহবধূর দেবর তৌহিদুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরেক দেবর মাহফুজ্জামান, খালাত দেবর সাইদুর রহমান জুয়েল ও ননদের স্বামী বুলবুল আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে তৌহিদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘তার ভাবি তানজিনা আক্তার গত ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে বাসার তিনতলা থেকে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় তার ভাই মাসুকুজ্জামানসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মিথ্যা মামলা করেছেন তানজিনার বড়ভাই মাকসুদুল রাসেল। ওই মামলায় তার মা-বাবা, বোন ও দুই ভাইকে আসামি করা হয়েছে।’
তৌহিদুজ্জামান দাবি করে বলেন, ‘আমার ভাবি তানজিনা আক্তার ছিলেন মানসিক রোগী। তাকে গত কয়েক বছর ধরে মানসিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। যার চিকিৎসাপত্র আমাদের কাছে রয়েছে। ঘটনার দিন আমার ভাইয়ের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনায় অভিমান করে তিনতলা থেকে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আহত হওয়ার পর আমার বাবা ও দুই ভাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অভিমান। অথচ, তারা আমার পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। এতে তিনজন গ্রেপ্তার হয়।’
তৌহিদুজ্জামান মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রত্যাহারের দাবিসহ তার পরিবারের নির্দোষ সদস্যদের হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী মাকসুদুল রাসেল বলেন, ‘আমার বোন তানজিনা মানসিক রোগী ছিল না। তার স্বামী একজন বদমেজাজি। আগেও কয়েকবার তাকে মারধর করেছে। আমার ছোটভাগ্নি তার জবানবন্দিতে বলেছে, তার বাবা কুঁড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তার মায়ের মৃত্যু হয়। পরে তিনতলা থেকে ফেলে আত্মহত্যার কথা বলে প্রচার চালায়।’
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম জানান, বাদী-বিবাদী পক্ষ যেকোনো কর্মসূচি পালন করতেই পারে। তদন্ত করে পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেবে। ঘটনায় আসামিদের মধ্যে কেউ জড়িত না থাকলে তার নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ যাবে।