ভোলার বিধিনিষেধ না মেনে ফেরি-ট্রলারে পারাপার
সরকারি বিধিনিষেধ মানছে না খোদ স্থানীয় প্রশাসন। ভোলায় ঈদ পরবর্তী লকডাউনে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের সামনে তাদের সহযোগিতায় ফেরি ও ট্রলারে যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
সরকারঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন আজ শুক্রবার। তবে সকাল থেকেই ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী ভোলার শত শত মানুষের ঢল নামে ইলিশা ফেরি ঘাটে। এসব মানুষ তাদের কর্মস্থলে ফিরতে মরিয়া। তারা ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুর যাওর জন্য ফেরিতে করে পারাপারের জন্য অপেক্ষা করে। একপর্যায় ফেরি কাউন্টারের একজন স্টাফ এসে স্থানীয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলার পর ছেড়ে দেওয়া হয় সব যাত্রীকে। ফলে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে ফেরিতে যাত্রী বোঝাই করে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ট্রলার ও স্পিডবোটে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ভোলা-থেকে লক্ষ্মীপুরে যাচ্ছে যাত্রীরা।
এসব বিষয়ে যাত্রীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলে, তাদের যেতেই হবে। রাস্তায় মাইক্রো, মাহেন্দ্র, রিকশা ও অ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছেন। লক্ষ্মীপুর থেকে একই ভাবে যেতে হবে বলে চরফ্যাশনের যাত্রী মো. কাইয়ুম ও তজুমদ্দিন থেকে আসা চট্টগ্রামমুখী আকরাম এসব কথা বলেন।
এদিকে, এ বিষয় বিআইডব্লিউটিএর ফেরিঘাট ম্যানেজার মো. পারভেজ খান বলেন, ‘এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। প্রশাসনের দেখার দায়িত্ব। তার পরও আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোন দিলে তারা মুঠোফোন রিসিভ করেননি।
অপরদিকে, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মোবাইল টিম মাঝেমধ্যেই যাচ্ছে ইলিশাতে। তবে এটা বিআইডব্লিউটিএর দেখার বিষয়। আমি তাদের জানাচ্ছি।’