ভোলায় যুবলীগ নেতা নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ
ভোলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম টিটুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে সদর থানা, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
গতকাল শুক্রবার রাতে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নান্নুর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চকেটসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
এ ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে ভোলা থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন।
১৬ আসামির মধ্যে আবুল বাশার (২৭) নামের একজনকে ধনিয়া কাঠির মাথা থেকে গ্রেপ্তার ও সহিংসতার কাজে ব্যবহার হওয়া একটি স্পিড বোট জব্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে বলে জানায় ওসি এনায়েত।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর মধ্যে অবস্থিত ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপচর দৌলতখান উপজেলার এ মদনপুর ইউনিয়ন নির্বাচনকালীন সময়ে ছিল অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থাপনার কারণে তখন কোনো সহিংসতা না ঘটলেও নির্বাচনের ১৫ দিনের মাথায় এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন যুবলীগ নেতা টিটু।
এ ঘটনায় ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নিবার্চন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ফেরার পথে ট্রলারে সদরের দিকে যাওয়ার সময় মাঝ নদীতে তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম টিটু (৩২) নিহত হন। গতকাল সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর চেয়ারম্যান বাজার নাছিরমাঝি নৌপথের হেতনার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তাঁকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ট্রলারে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন নান্নু ও ইউপি সদস্য মো. হেলাল, আবদুল খালেক, মো. ইউসুফসহ আট ইউপি সদস্য এবং অন্য নেতাকর্মীরা ছিলেন।