ভয়েস কল ফাঁসের ঘটনায় আ. লীগের দুই নেতার মারামারি
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ফেসবুকে ভয়েস কল ফাঁস করাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং পাইন্দু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, রুমা উপজেলায় কয়েক বছর আগে নারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে লাথি মারেন চেয়ারম্যান। এ সময় চেয়ারম্যান ও ওই নারী সদস্যের কথা কাটাকাটির একটি রেকর্ডকৃত কল সম্প্রতি ফেসবুকে পুনরায় ফাঁস হয়। এ নিয়ে রুমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা এবং পাইন্দু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইলু কথাং বম এর মধ্যে বাকবিতণ্ডায় হয়। এর এক পর্যায়ে রুমা বাজার সংলগ্ন পাড়ার বাসিন্দার ক্যসিহ্লা মারমার বাড়িতে তর্কটি হাতাহাতি এবং মারামারিতে রূপ নেয়। স্থানীয়রা তাদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। আগামী নির্বাচনে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে এরা দুজনই সম্ভাব্য প্রার্থী। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দুজনের মধ্যে দৌড়ঝাঁপও চলেছে বহুদিন ধরে।
ক্যসিহ্লা মারমা বলেন, ‘রাতে ১০টার দিকে পাইন্দু চেয়ারম্যান উহ্লামং আওয়ামী লীগনেতা সাইলু কথাং বমকে ফোন করে কোথায় আছে জানতে চান। তারপর ঘটনাস্থলে এসে ফেসবুকে ভয়েস শেয়ার করা নিয়ে উচ্চস্বরে বকাবকি করেন। আমি দুজনকে শান্ত হয়ে বাড়ির বাহিরে গিয়ে কথা বলার অনুরোধ করি। তারপর তারা বাড়ির পাশে মাচাং ঘরে বসে তর্কাতর্কি এবং হাতাহাতিতে জড়ায়। সংঘর্ষে দুই নেতাই আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে চেয়ারম্যান উহ্লামং আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
পাইন্দু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইলু কথাং বম বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির জন্য চেয়ারম্যান দায়ী। তিনি আমায় ফোন করে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা করেছে। আমি ফেসবুকে কোনো ভয়েস রেকর্ড শেয়ার করিনি, বিষয়টি চেয়ারম্যানকে বহুবার বলেছি। কিন্তু চেয়ারম্যান আইনের আশ্রয় না নিয়ে মিথ্যা অভিযোগে আমার ওপরে হামলা করেছে।’
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান উহ্লামং বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রমূলক পুরনো ভয়ের রেকর্ড ফেসবুকে ছেড়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমার ওপরে হামলা করা হয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’