মওদুদ আহমদের চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চলে যাওয়া দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। গণতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার করে তাঁর শূন্যতা পূরণ করা হবে।
বিএনপির শীর্ষনেতা আরও বলেন, ‘মওদুদ আহমদের চলে যাওয়া শুধু বিএনপির নয়, সমগ্র জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের মানুষের দাবি আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য ৩২টি মামলা দেওয়া হয়েছে তাঁর নামে।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মরদেহ গ্রহণ করতে এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সন্ধ্যায় শাহজালাল বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এই দৃশ্য দেখা যায়।
মরদেহ গ্রহণ করতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আমানউল্লাহ আমান, জয়নাল আবেদিন ফারুক, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নাজিম উদ্দীন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুল লতিফ জনি, তাবিথ আউয়াল, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
বিমানবন্দর থেকে মওদুদ আহমেদের লাশ তাঁর গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতে এভার কেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।
আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে মওদুদ আহমদের মরদেহ। সকাল ১০টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে বেলা ১১টায় মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হবে নোয়াখালীতে।
বসুরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মাঠে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।