মওদুদ আহমদের লাশ আসবে বৃহস্পতিবার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের লাশ আগামী বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় আনা হবে। ঢাকা ও গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
আজ মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহকর্মী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ মওদুদ আহমদ স্যারের লাশ দেশে আনা হবে। ঢাকায় কয়েকটি জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।’
এর আগে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীকসহ অনেকে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার ফলে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মওদুদ আহমদকে রাজধানীর এভারকেয়ার (সাবেক এপোলো) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। সেখানে তাঁর হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। সেখানে তাঁর দুইবার করোনা পরীক্ষা করা হলেও নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১ ফেব্রুয়ারি রাতে মওদুদ আহমদকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। পরদিন ভোরে তাঁকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মওদুদ আহমদের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। অষ্টম জাতীয় সংসদে আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন এই রাজনীতিবিদ।