মডেল পিয়াসার সহযোগী মিশু ও জিসান রিমান্ডে
আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দুই সহযোগী শরিফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং মো. মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে কয়েকটি মামলায় রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এই আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রণপ কুমার ভক্ত এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভাটারা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান খান পর্নোগ্রাফি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মো. মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের দশ দিন করে মোট ২০ দিন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আল ইমাম রাজন আসামি শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসানের মাদক, পর্নোগ্রাফি ও অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। শুনানি শেষে বিচারক জিসানের পর্নোগ্রাফি মামলায় এক দিন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিন দিনসহ মোট চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর আসামি মিশুকে মাদক মামলায় তিন দিন, পর্নোগ্রাফি মামলায় এক দিন ও অস্ত্র মামলায় পাঁচ দিনসহ মোট নয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে অস্ত্র, জালটাকা, মাদক এবং অশ্লীল ভিডিওসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়। মামলাগুলো করা হয়েছে বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে।
গ্রেপ্তারের পর র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, শরিফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও তার সহযোগী মো. মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসান একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্য প্রায় ১০ থেকে ১২ জন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন আভিজাত এলাকা বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা করে থাকেন। ওই সব পার্টিতে তারা অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন।
অংশগ্রহণকারীরা উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য। প্রতিটি পার্টিতে ১৫ থেকে ২০ জন অংশগ্রহণ করত। এ ছাড়া বিদেশেও প্লেজার ট্রিপের আয়োজন করা হতো। একইভাবে উচ্চবিত্তের প্রবাসীদের জন্যও দুবাই, ইউরোপ ও আমেরিকায় এ ধরনের পার্টি আয়োজন করা হতো। তারা ক্লায়েন্টদের গোপন ছবি ধারণ করে অপব্যবহার করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান।