মডেল মসজিদে টিকটক-লাইকি ভিডিও নির্মাণ, তরুণ গ্রেপ্তার
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নবনির্মিত মডেল মসজিদ প্রাঙ্গণে হিন্দি গানের সঙ্গে টিকটক ও লাইকির জন্য ভিডিও নির্মাণ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ইয়াছিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
পুলিশ সুপার বলেন, জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় নবনির্মিত দাউদকান্দি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সেন্টারের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ধারণ করে লাইকি ও টিকটক ভিডিও তৈরি করা হয়। পরে তা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন ইয়াছিন নামের ওই যুবক। বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সবার অভিযোগ, এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে।
বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে নির্মাতা ইয়াছিনকে দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি ওই গ্রামেই।
গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিনের (২০) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশ সুপার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুর রহীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. তানভীর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আফজল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) নাজমুল হাসান রাফিসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অভিযান পরিচালনাকারী কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক পরিমল দাশ জানান, মসজিদে টিকটক ভিডিও তৈরিকারীকে তার বাসা থেকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। রোববার গ্রেপ্তার ইয়াছিনকে আদালতে নিলে বিচারক গোলাম মাহবুব খান তাকে কারাগারে পাঠান।
সম্প্রতি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নির্মিত জেলার প্রথম মডেল মসজিদের বারান্দায় কয়েকটি হিন্দি গানের সঙ্গে টিকটক ও লাইকির জন্য ভিডিও বানানোর অভিযোগ ওঠে কয়েকজন তরুণ-তরুণীর বিরুদ্ধে। তাদের ধারণ করা ভিডিওটি পরবর্তীকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
টিকটক ভিডিওটি নজরে আসে দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুয়েল রানার। তিনি তাঁর ব্যবহৃত আইডি থেকে ভিডিওতে গানের সঙ্গে নাচা দুই তরুণ-তরুণীদের পরিচয় চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। মো. জুয়েল রানা জানান, মসজিদের বারান্দায় টিকটক ভিডিওর বিষয়টি মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।