মদপানে রুয়েট শিক্ষার্থীসহ ২ জনের মৃত্যু
মদপানে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মাসরুর মুহিত (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর একই হাসপাতালে আরেক যুবকের মদপানে মৃত্যু হয়।
মদপানে শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে।
কাটাখালী পৌরসভার সমসাদিপুর এলাকার আরও নয়জন মদপানে অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিক্ষার্থী মুহিতের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাতী গ্রামে। রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহিত নগরীর তালাইমারী এলাকার বিএসবি ছাত্রাবাসে থাকতেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তুহিন জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুয়েট শিক্ষার্থী মাসরুর মুহিতকে অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ১৬নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১টায় তার মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, মুহিত মদপান করেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। হাসপাতালের মৃত্যুসনদে অ্যালকোহল পানে মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত মদপান করে নাকি ভেজাল মদ পানে তিনি মারা গেছেন, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে, গতকাল দিবাগত রাত ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার সমসাদিপুর গ্রামের আসাদুল হক (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুসনদেও অ্যালকোহল পানে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে আসাদুল বন্ধুদের সঙ্গে মদপান করেছিলেন। গত শনিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দিবাগত রাত ৪টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মদপানে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মতিহার থানার চর শ্যামপুর এলাকার মনিরুল ইসলাম (২৫), শাহাদাত হোসেন (২৫), জাকির হোসেন (২৫), তাশিক (৩২), মিন্টু মিয়া (২৬), ডাবলু (২৭), নাসির উদ্দিন (৩০), মিঠু (৩২), সমসাদিপুর গ্রামের পারভেজ (২২)।