মধ্যপ্রাচ্য থেকে যারা এসেছেন, তাদের ভিসা বাড়বে : মন্ত্রী
মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে আসা শ্রমিকরা সময়মতো ফিরতে না পারলে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তাদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো হবে। এ ছাড়া বিদেশ যেতে করোনাভাইরাসমুক্ত সনদের প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। অনেক দেশ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভিসা ইস্যু ও ফ্লাইট বন্ধ করলেও বাংলাদেশ এখনই তা করতে চায় না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের বড় অংশ কাজ করে মধ্যপ্রাচ্যে। করোনা ভাইরাসের কারণে সৌদি আরব ওমরা ভিসা ইস্যু বন্ধ, কাতার ও কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ বন্ধ আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ছুটিতে আসা প্রবাসীরা যাতে সময়মতো সেসব দেশে ফিরতে পারেন তা নিয়ে তাদের তৎপরতাও দেখা গেছে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এর সমাধান খুঁজতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত হয় আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, আরব আমিরাত ও কাতারের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসী বাঙালি যারা দেশে এসেছেন, এখন আপাতত যারা যাচ্ছেন না, তাদের প্রত্যেকের ভিসা বাড়ানো হবে। তারা তাদের কাজের ক্ষেত্রে বা ভিসা পারমিটের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধার মুখে পড়বেন না। যারা এখানে এসেছেন তারা ফিরে যেতে পারবেন। যারা ওখানে নতুন কাজে যাচ্ছেন, তাদেরও পরে গেলে কোনো ক্ষতি হবে না।’
এগুলো সাময়িক পদক্ষেপ জানিয়ে প্রবাসীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে করোনাভাইরাস নেই- এমন সনদ নেওয়ারও প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ‘এসবের কোনো প্রযোজন নেই। বাড়িতে ভারোভাবে থাকেন, মুখে থাকেন।’
প্রতিবেশী ভারতসহ অনেক দেশ ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চারটি দেশ ছাড়া আপাতত অনঅ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করতে চায় না সরকার।
মোমেন বলেন, ‘অনঅ্যারাইভাল ভিসা চারটি দেশ বাতিল করেছে। সেগুলো হচ্ছে- চীন, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালি। এসব দেশে বেশি করোনাভাইরাসের রোগী এসেছে। আমাদের দেশে এমন কিছু হয়নি। সেই কারণে আমরা এখনো অনঅ্যারাইভাল ভিসা বাতিল করিনি। তবে আমরা প্রতি মুহূর্তে পর্যবেক্ষণ করছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি, তারা যদি আমাদের পরামর্শ দেয়, মনে করে স্পেন- তখন আমরা এটা বিবেচনা করব।’
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আবারও দেশে ফিরতে প্রবাসীদের নিরুৎসাহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।