মমেকে ছাত্রলীগ নেতাসহ বহিষ্কার ১০, ৮ জনকে তিরষ্কার
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসানকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় গৃহীত এবং অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ স্বাক্ষরিত আদেশে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে তাকে অপসারণ ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করার অপরাধে আব্দুল্লাহ আল হাসানকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি এম-৫৩ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ডিসিপ্লিনারি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আগামী তিন বছরের জন্য আব্দুল্লাহ আল হাসানকে বহিষ্কার, সেই সঙ্গে আরও দুজনকে দুই বছরের জন্য, সাত জনকে এক বছরের জন্য এবং আটজনকে বৈধ অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করে একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া একাডেমিক কাউন্সিল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে মিছিল মিটিং সভা-সমাবেশসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন এম-৫৫ ব্যাচের ফায়াদুর রহমান ও বিডিএস-৬ এর তামান্না ত্কসিন।
যে সাতজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হযেছে তারা হলেন এম-৫৪ ব্যাচের সুনীতি কুমার দাস, সানবিম খান, মাহিদুল হক, তানবিন হাসান এম-৫৫ ব্যাচের কাশফি তাবরিজ, রাপ্পু কর্মকার, সাখাওয়াত হোসেন সিফাত এক বছরের জন্য বহিষ্কার।
বৈধ অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে আটজনের। তারা হলেন এম-৫৮ ব্যাচের মাহমুদুজ্জামান, মেহরাব হোসেন, নাজমুস সাকিব, মো. রিজভি আল নাহিয়ান হিয়া, মো. জিম রহমান, মো. সাকিব খান শাওন, বিডিএস-৮ জেরিন তাসনিম, বিডিএস-১০ মো জিহাদুল হক তাইয়িব।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উল্লেখিতরাসহ কিছু শিক্ষার্থী অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এর প্রতিবাদে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের সর্বস্তরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা (৯ মানববন্ধকারী) দোষীদের বিচার দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন।
এ ঘটনায় গাইনি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. তায়েবা তানজিম মীর্জা, মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. আব্দুল হান্নান মিয়া, শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান লোকমান হোসেন এবং পরে ডেন্টাল বিভাগের প্রধান সহকারী প্রফেসর ডা. মনোয়ার হোসেন ও অ্যানাটমি বিভাগের প্রফেসর শেলী জান্নাতকেসহ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটি গতকাল একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।