মাইমুন বাঁচতে চায়, প্রয়োজন ছয় লাখ টাকা
আড়াই বছরের শিশু মোহাম্মদ মাইমুন বীন করিম ই-বিটা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। প্রতি মাসে তাকে রক্ত দিতে হয়। রক্ত দেওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দেয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এভাবেই রক্ত দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা নিতে হবে। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে স্থায়ী চিকিৎসার জন্য বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। এটাও ব্যয়বহুল চিকিৎসা।
ভালো খবর হচ্ছে, শিশুটির মা তাকে বোনমেরো দিতে প্রস্তুত। তবে এই চিকিৎসায় দরকার অনেক টাকা। সন্তানকে বাঁচাতে সব চেষ্টাই করছেন বাবা মোকসেদুল করিম। পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবাই। সবার সহযোগিতায় ছেলেকে ভর্তি করিয়েছেন ভারতের গুরগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে।
সবার সহযোগিতার পরেও এখনও প্রায় ছয় লাখ টাকা দরকার। টাকা জোগাড় হলেই বেঁচে যেতে পারে শিশুটি। তাই সবার কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন শিশুটির বাবা মোকসেদুল করিম।
মোকসেদুল করিম বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান মাইমুন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। প্রতি মাসে রক্ত দিতে হয়। বাংলাদেশ রক্তরোগ বিশেষজ্ঞরা জানায়, দেশে এখনও এই রোগের চিকিৎসা শুরু হয়নি। শুধুমাত্র রক্ত দেওয়া আর আয়রন চিকিৎসা ছাড়া। এ রোগের একমাত্র স্থায়ী চিকিৎসা বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট। পরে সন্ধান পেলাম, ভারতে বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট করে। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিপোর্ট দেখাই। গত ১২ জুলাই আমরা সপরিবারে ভারত আসি। চিকিৎসক আমাদের তিনজনেরই শারীরিক টেস্ট করায়। এতে সন্তানের ও তাঁর মায়ের দেহের কাঠামো শতভাগ মিলে যায়। যা খুবই বিরল। পরে চিকিৎসকরা মত দেন বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট করার। সেই মোতাবেক গত ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করি। বতর্মানে ভারতের ডা. রাহুল ও ডা. ভিকাশ দুয়ার অধীনে চিকিৎসাধীন আছে শিশুটি।’
মোকসেদুল করিম আরও বলেন, ‘সন্তানকে বাঁচাতে নিজের সব চেষ্টা করেছি। পরিচিত অনেকেই সহযোগিতা করেছে। আরও ছয় লাখ টাকা জোগাড় হলেই পুরোপুরি চিকিৎসা করে আমার সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হবে।’
মাইমুনকে সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন: বিকাশ, নগদ ও রকেট পারসোনাল- ০১৭৯২১৬৬৪৫৬। এ ছাড়াও ইউসিবি ব্যাংক হিসাব নম্বরে: ০৯৯৩২০৪০০০০২২৪৬০ (অনিক রাব্বি) সাহায্য পাঠানো যাবে। মাইমুনের বাবা করিমের বাংলাদেশি ফোন ও হোয়াস অ্যাপ নম্বর ০১৭১৭৮৮৪২৯৭। তাঁর ভারতীয় নম্বর +৯১৮৬৫৩৮০২২০৮। চাইলে সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলেও শিশুটিকে সাহায্য পাঠাতে পারেন।