‘মাতৃত্বের লোভে’ সিরাজগঞ্জে ফের শিশু চুরি
মাতৃত্বের লোভে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক নারী সদ্যজাত এক শিশুকে চুরি করেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। রানী খাতুন (৩৫) নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ এই দাবি করেছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসিবুল আলম।
শিশু চুরির ঘটনায় রানী খাতুন ছাড়াও তাঁর বাবা আনোয়ার হোসেনসহ (৫৫) মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের বারাকান্দি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ২৩ দিনের শিশু সন্তানকে বাড়ি থেকে চুরি হয়। বিকেল ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কের বেসরকারি আভিসিনা হাসপাতালের সামনে থেকে শিশুটিকে উদ্ধার এবং পাঁচজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, চৌবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাস করা রানী খাতুনের সঙ্গে ১৪ বছর আগে বিয়ে হয় কামারখন্দ কৃষি কারিগরি কলেজের কর্মচারী শহিদুল ইসলামের। তাঁদের বিবাহিত জীবনে সাত মাস আগে একমাত্র শিশু ভূমিষ্ঠ হয়ে কিছুক্ষণ পরই মারা যায়। সন্তানের অভাব পূরণ করতেই শিশু চুরির পরিকল্পনা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানী খাতুন স্বীকার করেছেন। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিশু চুরির সঙ্গে কোনো চক্র কাজ করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২৩ দিন বয়সী এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলের সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতালে জন্মের ছয় ঘণ্টা পর শিশু চুরির ঘটনা ঘটে। ২৩ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় শিশুটির বাবা চয়ন ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে একটি শিশু জীবিত এবং অপর শিশুটিকে মৃত উদ্ধার করা হয়। শিশু চুরির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন পুরুষ ও পাঁচ নারীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।