যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্যের সঙ্গে মাথা ঠান্ডা রেখে কমান্ডারের নির্দেশ মেনে অধঃস্তনদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। আজ রোববার (৭ মে) মিরপুর পিওএম পুলিশ লাইনস মাঠে অনুষ্ঠিত মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন শেষে তিনি এ নির্দেশ দেন।

প্যারেড পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শৃঙ্খলা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য প্রত্যেককে প্যারেড জানতে হবে। পুলিশকে সিভিলিয়ান এবং ইউনিফর্ম দুই দিকেই পারদর্শি হতে হয়। যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে কমান্ডারের নির্দেশ মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর কমান্ডারদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে হবে।’

শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মানসিক সুস্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট উপকমিশনারদের কন্টিনিউয়াস প্যারেড করানোর নির্দেশ দেন খন্দকার গোলাম ফারুক। কীভাবে খালি হাতে নিজেকে আত্মরক্ষা করে পাবলিক ম্যানেজমেন্ট করতে হবে এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণেরও নির্দেশ দেন তিনি।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘নিউমার্কেটে আগুনের ঘটনায় পিওএমের ফোর্স অত্যন্ত মানবিক ভূমিকা পালন করেছে। ফলে ডিএমপি তথা বাংলাদেশ পুলিশের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।’ গত কয়েক মাসে পিওএম ফোর্সের দায়িত্বপালনে সন্তোষ প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এর আগে পিওএম পশ্চিম বিভাগের উপকমিশনার মোমতাজুল এহসান আহাম্মদ হুমায়ুনের নেতৃত্বে ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত সুসজ্জিত কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহী দলের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন খন্দকার গোলাম ফারুক। প্যারেডে সহকারী প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার কে. এন. রায় নিয়তি।

মাস্টার প্যারেডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।