মাদক ব্যবসায় স্বামীর সহযোগী স্ত্রী, আছে আরও নারী
মাদক ব্যবসায় স্বামীর সহযোগী স্ত্রী। তাদের সঙ্গে আছে আরও অনেক নারী। এই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাবের দাবি—আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে চক্রের মূল হোতা মোসা. সেলিনা খাতুনের স্বামী শাকিবুর রহমান মাদক পরিবহণে ব্যবহার করতেন নারীদের।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর এবং নওগাঁ এলাকায় পৃথক অভিযানে ওই চক্রের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের পাঁচ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করে র্যাব। এ সময় দুই নারীসহ তিন মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার (৩ জনুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
র্যাবের কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাব-১২-এর অভিযানে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এবং নওগাঁ এলাকা থেকে পাঁচ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইনসহ চক্রের হোতা মো. শাকিবুর রহমান, মোসা. রাজিয়া খাতুন ও মোসা. সেলিনা খাতুন ওরফে শিরিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘পাশের দেশ থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে নদীপথে প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ কেজি হেরোইন নিয়ে আসে মাদক কারবারীরা। মাদক পরিবহণের কৌশল হিসেবে আসামি শাকিবুর নারী সদস্যদের ব্যবহার করতেন। তাদের মাদক ব্যবসার চক্রে ১০ থেকে ১২ জন সক্রিয় নারী সদস্য রয়েছে। তারা চাহিদা অনুযায়ী বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং সাভারসহ দেশে প্রতিনিয়ত ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করে।’
‘চক্রের মূল হোতা শাকিবুর এর আগে চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এলাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে তিনি প্রায় দুই বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তার ব্যবসায়িক সহযোগীর মাধ্যমে হেরোইন সংগ্রহ করে প্রথমে নিজের বাড়িতে সংরক্ষণ করতেন। পরে চাহিদা অনুযায়ী বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতেন।’ যোগ করেন খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘শাকিবুর নিজের মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানেও মাদক পরিবহণ করতেন। এ ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় যাত্রীবাহী বাস, লঞ্চ এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের অনেক স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে হেরোইন সরবরাহ করতেন।’