মাদক মামলায় নাসির ও অমির সাত দিনের রিমান্ড
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া অপর তিন আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
তিন আসামি হলেন নাজমা আমিন বৃষ্টি (২৪), লিপি আক্তার (১৮) ও সুমি আক্তার (১৯)।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে রিমান্ড ও জামিন শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এ আদেশ দেন।
আদালতে শুনানিতে অংশ নেন মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু, মো. শিহাব, তাপস কুমার পাল, নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুল ইসলাম। আসামিদের পক্ষে ছিলেন এ এইচ এম রুহুল কাউসার, আব্দুল বাতেন ও হযরত আলী।
শুনানির শুরুতে জিআরও মাহমুদুল ইসলাম আদালতে বলেন, ‘আসামিদের কাছ থেকে মাদক পাওয়া গেছে। তারা অনেক প্রভাবশালী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।’
অপরদিকে, আসামিপক্ষে আইনজীবীরা দাবি করেন, আসামি নাসিরউদ্দিন মাহমুদ দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাঁকে আগে গ্রেপ্তার করে পরবর্তীতে মদের মামলায় জড়ানো হয়েছে।
পরে আদালত শুনানি শেষে আসামিদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে পাঁচ আসামিকে প্রিজনভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
এর আগে বিমানবন্দর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউল আলম বলেন, গতকাল সোমবার রাত ১২টা পাঁচ মিনিটে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এর আগে চিত্রনায়িকা পরী মণির করা সাভার থানার মামলায় গতকাল সোমবার বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। যেহেতু গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়, সেজন্য বিমানবন্দর থানায় মামলাটি করা হয়।
অভিযুক্ত নাসিরউদ্দিনের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি কুঞ্জ ডেভেলপার্সের চেয়ারম্যান এবং উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি।
জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে চিত্রনায়িকা পরী মণি সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে এক ব্যক্তির সঙ্গে যান। সে সময় তাঁকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন নাসিরউদ্দিন মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ী।
গত রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন পরী মণি। তিনি দাবি করেছেন যে, ছয়জন তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর গত রোববার রাত ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা জানান, তিনি জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। নিজ বাসায় তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না।
ঘটনার পর ভোর রাতে বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান এই অভিনেত্রী।