মাদারীপুরে খুনের পর স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে চম্পট স্বামী
মাদারীপুরের শিবচরে হত্যার পর হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে স্বামী রাজ্জাক তালুকদার পালিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম আয়েশা আক্তার (৩০)। তিনি বরিশালের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। আয়েশার শাওন নামে একটি ছেলে ও সিনথিয়া নামে একটি মেয়ে আছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের রাজ্জাক তালুকদার পেশায় অটোরিকশাচালক। স্ত্রী আয়শা আক্তারের (৩০) সঙ্গে তাঁর প্রায়ই বিভিন্ন কারণে ঝগড়া লেগেই থাকত।
সোমবার রাতে স্ত্রী আয়শার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় স্বামী রাজ্জাকের। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আয়েশার পেটে ও নাকে আঘাত করেন রাজ্জাক। এতে ঘটনাস্থলেই আয়েশার মৃত্যু হয়।
ঘরে চেচামেচির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশিরা গিয়ে আয়েশাকে নিথর অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পরে থাকতে দেখেন। এ সময় আয়শাকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বললে রাজ্জাক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আয়েশাকে ইজিবাইকে করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আয়েশাকে রেখে স্বামী রাজ্জাক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান।
পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ আয়েশার মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিবচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিদ্ধার্থ কুমার বলেন, ‘নিহতের শরীরে দুটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘাতককে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।’
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. তরকিুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পেটে ও নাকের ওপরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। অধিক রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধারাল অস্ত্রটি ছুড়ি হতে পারে।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিরাজ হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামী উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী আয়েশাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আয়েশা আক্তার মারা যান। মরদেহটি মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।