মাদারীপুরে চার কোটি টাকার কষ্টিপাথর ও ধাতবমুদ্রা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
ফরিদপুরের সদরপুরে পৃথক দুটি অভিযানে প্রায় চার কোটি টাকা মূল্যের ৪টি কষ্টিপাথর ও ২৭টি বৈদেশিক মূল্যবান ধাতবমুদ্রা উদ্ধার করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় দুই চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শনিবার রাতে সদরপুর উপজেলার চরডোবাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মূল্যবানসামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদরপুর উপজেলার চরডোবাইল এলাকার মৃত আ. বারেক খলিফার ছেলে মোস্তফা খলিফা (৬০) ও একই উপজেলার কানছারামের ডাঙ্গি এলাকার মৃত রহমান খানের ছেলে মো. বাদশা খান (৬১)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, একদল চোরাচালানকারী ও দালালচক্র মূল্যবান কষ্টিপাথর কেনাবেচা করে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরডোবাইল এলাকার মোস্তফা খলিফার বাড়িতে মহামূল্যবান কষ্টিপাথর কেনাবেচা হচ্ছে। পরে র্যাবের অভিযানে মোস্তফা খলিফার বাড়ি থেকে ৮ কেজি ৩১০ গ্রাম ওজনের একটি আসল কষ্টিপাথর উদ্ধার করে। এরপর একই উপজেলার কানছারামের ডাঙ্গি এলাকার বাদশা খানের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ৯ কেজি ৪৯০ গ্রাম ওজনের ৩টি নকল কষ্টিপাথর ও ২৭টি বৈদেশিক মহামূল্যবান ধাতবমুদ্রা উদ্ধার করে। এসব প্রত্নতাত্ত্বিকসামগ্রী কেনাবেচার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ও ৪টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার বলেন, র্যাব প্রত্নতাত্ত্বিক ও মূল্যবান সম্পদ চোরাচালানকারী চক্রের সন্ধানে সচেষ্ট। র্যাবের অভিযানে তিনটি নকল ও একটি আসল কষ্টিপাথর ও ২৭টি বৈদেশিক মহামূল্যবান ধাতবমুদ্রা উদ্ধারসহ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চোরাকারবারীদের দেওয়া তথ্য মতে, আসল কষ্টিপাথরটির দাম এক কোটি ২০ লাখ ও বাকি তিনটি নকল কষ্টিপাথর ও ২৭টি বৈদেশিক ধাতবমুদ্রার দাম ৩ কোটি টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। তারা এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব প্রত্নতাত্ত্বিকসামগ্রী দেখিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে সদরপুর থানায় একটি মামলা করেছে। আসামি ও উদ্ধারকৃত আলামতও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।