মাদারীপুরে ধর্ষণ মামলার বাদীকে মারধর
মাদারীপুরে ধর্ষণ মামলার বাদীকে হামলার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে জেলা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। আসামি নিজেই নাকি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
অভিযোগ বলছে, হামলায় ধর্ষণ মামলার বাদী ও তাঁর স্বামী আহত হন। হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে মাদারীপুরের কালকিনিতে দন্ত চিকিৎসক সাইদুর রহমান কিরণের কাছে চিকিৎসা নিতে যান এক গৃহবধূ। এরপর তাকে চিকিৎসার নামে অচেতন করে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন দন্ত চিকিৎসক কিরণ। সেই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তার দুই বন্ধুসহ তিনি কয়েক মাস লাগাতার ধর্ষণ করেন ওই গৃহবধূকে।
পরে বাধ্য হয়ে গৃহবধূ তার স্বামীকে ঘটনাটি জানান। সেই ঘটনায় কালকিনি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন ওই গৃহবধূ। মামলায় দন্ত চিকিৎসক কিরণ এবং তার বন্ধু মেহেদী হাসান শিকদার ও সোহাগ মোল্লাকে আসামি করা হয়।
হামলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বাদী জানান, ধর্ষণ মামলার আসামি মেহেদী হাসান শিকদারকে আজ দুপুর ১২টার দিকে জেলা আদালতে হাজির করা হয়। পরে এজলাস কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় মামলার ২নং আসামি মেহেদী হাসান শিকদার এক হাতে হাতকড়া পরা অবস্থায় অন্য হাত দিয়ে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মামলার বাদীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং পেটে লাথি মারেন।
এ সময় তার স্বামী এগিয়ে এলে তাকেও আসামির স্বজন মামুন ও সোহাগ শিকদার মারধর করেন। তারা বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী বলেন, “আসামি হাসান হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের সামনেই আমার উপর হামলা চালায় এবং পেটে লাথি মারেন। আমার স্বামীকে আসামির ভাইয়েরা মারধর করেন। আসামির ভাই মামুন প্যাদা আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যদি আমার ভাই জামিন না পায় তোদের দেখে নেব।’”
এ ব্যাপারে মাদারীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আসামি বাদীকে লাথি মারার চেষ্টা করেছিল। তবে, পুলিশ আসামিকে টেনে সরিয়ে নিয়ে যায়।’