মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, তিন আসামির যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে দুজনকে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ইব্রাহিম ওরফে মনা, জহিরুল ইসলাম ওরফে টিটু ও হৃদয়।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ফতুল্লার এনায়েতনগরের মধ্য ধর্মগঞ্জ এলাকায় রাজিম উদ্দিনের বাড়ির দ্বিতীয়তলায় ওই মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরের দিন হত্যার শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০১৬ সালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্তে ধর্ষণের পর হত্যার সত্যতা পাওয়া যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রকিব উদ্দিন জানান, মামলাটিয় মোট ১১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। আদালত আজ মামলার রায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে অর্থ দণ্ড করা হয়েছে। মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে হাবিব ও শাওন নামে দুজনকে।