মানবতাবিরোধী অপরাধ : চারজনের রায় যেকোনো দিন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চারজনের রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) এ মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
২০১৮ সালে ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ধানমণ্ডিতে এ মামলায় তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ৫ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
আসামিরা হলেন—মো.আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস। এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে হাজিরের পর থেকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর বাকি চারজন ছিলেন পলাতক।
এর মধ্যে আবার নওশের বিশ্বাস মারা যান। ফলে এখন আসামি চার জন। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আমজাদ মোল্লা যশোর বাঘারপাড়া থানার থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে বর্তমানে আমজাদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়।
যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন উত্তর চাঁদপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়না এবং মো. আয়েনউদ্দিন ওরফে আয়েনকে অপহরণ করে হত্যা, একই গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক ও আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে হত্যা, গাইদঘাট গ্রামের সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে অপহরণ করে হত্যা এবং মাগুরা জেলার শালিখা থানার সীমাখালীর চিত্রা নদীর খেয়াঘাটের মাঝি রজব আলী বিশ্বাসকে আটক করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।