মানিকগঞ্জে গণপরিবহণে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়লেও এবার জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহণ চলবে বলে জানানো হয়। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীসহ জেলাগুলোর অভ্যন্তরে গণপরিবহণ চলতে দেখা গেছে।
এদিকে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক পরিধান ও পরিবহণে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও মানিকগঞ্জে তা লক্ষ্য করা যায়নি। সেই সঙ্গে গাড়ির চালককে মাস্ক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও পরিবহণের সব আসনে যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে।
তবে, এক জেলার বাস আরেক জেলায় ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জের খোদা হাফেজ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকার নবীনগর থেকে আসা যাত্রীদের বারোবাড়িয়া এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে পরিবহণগুলোকে মানিকগঞ্জে ঢুকতে না দিয়ে ঢাকার দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, ধাপে ধাপে পরিবহণ বদল করে যাত্রীদের ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জে আসতে দেখা গেছে। এ জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
সাভার থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, ‘তিনবার বাস পরিবর্তন করে খোদা হাফেজ এলাকায় এলাম। সব জায়গাতেই অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে। যেহেতু চাকরি করতে হবে, তাই কিছু তো আর করার নেই।’
অপরদিকে, নীলাচল পরিবহণের এক চালক জানান, যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। পাটুরিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে খোদা হাফেজ পর্যন্ত নিয়ে আসি। আবার এখান থেকে যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়ায় যাচ্ছি। আমরা জেলার ভেতরেই বাস চালাচ্ছি।’