মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তারেক রহমানকে নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে একের পর এক বিদ্বেষপূর্ণ, নির্জলা, মিথ্যা, প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। তিনি তারেক রহমানের অভাবিত জনপ্রিয়তা অবলোকন করে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার, মেগাপ্রকল্পের নামে মেগাদুর্নীতি, লুটপাট, সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের হাহাকার আর আহাজারি থেকে মানুষের দৃষ্টি ভিন্নদিকে নিতেই এই প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, অসত্য ও কাল্পনিক গল্প বানিয়ে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। জনগণ এখন অনেক সচেতন। এই দিন চিরদিন থাকবে না। নিশিরাতের সরকারকে রক্ষার সব পথ দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে আসছে। এদেশের তরুণ যুবকের রয়েছে অপরাজেয় জীবনীশক্তি। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রবল উত্থানে এই গণবিরোধী সরকারের পরাজয় এখন অত্যাসন্ন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাহেবের ফাঁস হওয়া একটি চাঞ্চল্যকর টেলিফোন রেকর্ড শুনেছেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের একটি মেগাপ্রজেক্ট বিনা টেন্ডারে পাস করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সলা-পরামর্শ করছেন। সেই কল রেকর্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এটাকে বলেছেন-‘ইনোসেন্ট কনভারসেশন'।
রিজভী বলেন, তিন দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা তার ভেরিফাইড ফেসবুকে বহু বছরের পুরনো একটি ভুয়া হাস্যকর ভিডিও আপলোড দিয়ে দাবি করেছেন-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উৎকোচ চাওয়ার কারণে নাকি ২০০৫ সালে ভারতের টাটা কোম্পানি বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এই উদ্ভট ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো আওয়ামী লীগ জেনেটিক্যালি মিথ্যাবাদী স্বৈরাশাসক। অপ্রিয় সত্য হচ্ছে, আগামীদিনের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব তারেক রহমান সম্পর্কে অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার করাটাকে শেখ হাসিনা কিংবা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেদের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগে টাটা বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মূর্খতাপূর্ণ, অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট। এই প্রকল্পের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতা একটি ডাহা মিথ্যাচার ও দূরভিসন্ধিমূলক।