মানুষ মরলে বিএনপির রাজনীতিতে সুবিধা হয় : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জনগণকে মহামারির হাত থেকে রক্ষার জন্যই সরকার লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশে একই ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক, মির্জা ফখরুল সাহেবদের কথা শুনে মনে হয়, তাঁরা চান, দেশে করোনা সংক্রমণ আরও ব্যাপক বৃদ্ধি পাক, প্রতিদিন দেশে শত শত মানুষের মৃত্যু হোক, তাহলে তাদের রাজনীতিতে সুবিধা হয়।’
আজ বুধবার ঢাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির মওলানা আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় বাবুনগরী ও মামুনুল হকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্যাতনের মাধ্যমে মওলানা শফীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছিল। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।’
নির্যাতনের মাধ্যমে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট এবং তখনকার পত্রপত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রকাশিত হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শতবর্ষী মওলানা শফীর চরম অসুস্থতাকালে তাঁর কক্ষ ভাঙচুর করা, হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক ঘণ্টা গাড়ি আটকে রাখা, অক্সিজেন টিউব খুলে নেওয়া, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা- এসব সবাই দেখেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মওলানা শফী সাহেব আমার নির্বাচনী এলাকার ও আমার পাশের ইউনিয়নের একজন আলেম ছিলেন। তাঁর মতাদর্শ নিয়ে নানা কথা থাকলেও মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সজ্জন। যারা মামলা করেছেন, তাঁরাও আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ। আমি চাই, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ মওলানা শফী সাহেবকে যারা নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।’