মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর
কক্সবাজারে আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় অন্যতম প্রধান সাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের জেরা সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টার তার সাক্ষ্যগ্রহণ জবানবন্দি ও জেরা সম্পন্ন হয়।
আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা গত পাঁচ দিন ধরে জেরা করেছেন। পরে বিকেল ৫টায় আদালত মুলতবি ঘোষণা করে আগামী ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ দিন ধার্য করেন।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমালের আদালতে জেরা শুরু হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্তের জেরায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম আদালতে জানিয়েছেন ওসি প্রদীপসহ আসামিরা পরিকল্পিতভাবেই মেজর (অব.) সিনহাকে হত্যা করে। টেকনাফ থানায় দায়িত্ব পালনকালে ওসি প্রদীপের নানা অপকর্মের খবর জানতে পেরে তা ভিডিও ধারণ করার খবর জেনে গেলে ওসি প্রদীপ সিনহাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।
অ্যাডভোকেট ফরিদ আলম জানান, এ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হচ্ছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এটি একটি সেনসেটিভ এবং চাঞ্চল্যকর মামলা। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে গত পাঁচ দিন ধরে জেরা করেছেন।
ফরিদ আলম আরও জানান, এ নিয়ে এই মামলায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগপত্রে মোট ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল।
পিপি জানান, আজ আদালতের কার্যক্রমের শেষের দিকে আদালত আট আসামিকে কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় কোনো বক্তব্য আছে কিনা জানতে চাইলে তারা লিখিতভাবে আদালতকে জানাবেন বলে জানান। বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ অপর সাত আসামি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আগামী ধার্য তারিখে আদালতে বক্তব্য দেবেন বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে, আসামি ওসি প্রদীপের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত জানিয়েছেন, তিনি গত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন। সম্পূর্ণ আইনের দিক বিবেচনায় তিনি তাকে জেরা করেছেন। আজ তার জেরা শেষে মামলার আট আসামি সিনহা হত্যার ঘটনায় নির্দোষ দাবি করে কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন। আগামী ধার্য তারিখে ওসি প্রদীপসহ অপর সাত আসামি আদালতে তাদের বক্তব্য দেবেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।