‘মামলা ছয় বছর ভুগিয়েছে, পরিবারকে ওলট-পালট করে দিয়েছে’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় খালাস পাওয়ার পর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদার বলেছেন, ‘এই মামলা আমাকে ছয় বছর ভুগিয়েছে। মামলাটি আমার পরিবারকে ওলট-পালট করে দিয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন রায় ঘোষণার পর প্রবীর সিকদার এ মন্তব্য করেন।
প্রবীর সিকদার বলেন, ‘আমি আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ রায়ে আমি খুশি এবং মনে করি এ রায়ে সত্যের জয় হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ রায় আমাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আরও সাহস জুগিয়েছে।’
‘এই দেশকে আমি আমার বাবার কবর মনে করি। কারণ একাত্তরে যুদ্ধের সময় আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। বাবার লাশটা পাইনি আমরা। এ দেশে লুটপাট হোক সেটা আমি মেনে নিতে পারব না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার এ জীবন আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি লড়াই করে যাব। প্রয়োজনে আমি একাই লড়ব।’ যোগ করেন প্রবীর সিকদার।
এ দিকে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) শামীম আল মামুন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার রায়ে আসামি প্রবীর সিকদারকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
গতকাল বুধবার এই রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। বিচারক রায় লেখা শেষ করতে না পারায় নতুন করে আজ বৃহস্পতিবার এর তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ফেসবুকে তৎকালীন এলজিআরডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা স্বপন পাল। ওই রাতেই গ্রেপ্তার হন প্রবীর সিকদার। পরে তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ওই বছরের ১৯ আগস্ট তিনি জামিনে মুক্তি পান।
এরপর ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন ফরিদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন।