মামলা শুনানির সময় বিচারক-আইনজীবীরা পরছেন গ্লাভস-মাস্ক
করোনাভাইরাস থেকে দূরে থাকতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন আদালতের বিচারক, আইনজীবী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সাধারণ মানুষ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন আদালত, সাধারণ নিবন্ধন শাখা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ ও আইনজীবী সমিতিতে বিভিন্ন বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও পুলিশ সদস্যদের আজ সোমবার গ্লাভস ও মাস্ক পরতে দেখা গেছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৯ নম্বর আদালতের বিচারক রাজেশ চৌধুরীর আদালতে গিয়ে দেখা গেছে, বিচারক গ্লাভস পরে মামলার শুনানি করছেন। এ ছাড়া আদালতের স্টাফ ও পুলিশ সদস্যদের মাস্ক ও গ্লাভস পরে কাজ করতে দেখা গেছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রিপন মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ রয়েছে গ্লাভস ও মাস্ক পরার। অনেক আদালতেই এ নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
রিপন মিয়া আরো বলেন, ‘আদালতে এ ভাইরাস ছড়ানোর রিস্ক সবচেয়ে বেশি। কারণ, এখানে অনেক পুরোনো ও বিভিন্ন স্থান থেকে নথি ও কাগজ দাখিল করা হয়। সেসব কাগজে ভাইরাসের উপস্থিতি থাকতে পারে। তাই আদালতে মাস্ক ও গ্লাভস পরতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সিএমএম আদালতের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সবাইকে এ রোগ মোকাবিলা করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকতে হবে। সবাইকে সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।’
আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, ‘আদালতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। কারণ, এখানে প্রতিদিন লাখ লাখ লোকের সমাগম হয়। অনেকে চীন ও ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন, তারাও আদালতে আসেন। তাই আদালতে সব সময় মাস্ক ও গ্লাভস পরে থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিত।’
জাহাঙ্গীর হোসেন অপু নামের এক বিচারপ্রার্থী বলেন, ‘করোনা যেহেতু বাংলাদেশে এসেছে, তাই সতর্ক থাকা উচিত। আদালতে বিপুল লোকের সমাগম হয়ে থাকে, তাই এখানে সব সময় মাস্ক পরা উচিত।’
আইনজীবী রায়হান মোর্শেদ বলেন, ‘করোনার কারণে গণপরিবহনসহ সব ধরনের পাবলিক প্লেসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আদালতে লোকের সমাগম বেশি হয় বিধায় এখানে সর্বাধিক রিস্ক রয়েছে। তাই সবাইকে সতর্কতা মেনে চলা উচিত।’