মাস্ক না পরায় রিকশাচালকের মাথা ফাটালেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাস্ক না পরে ঢোকার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকালে এক রিকশাচালকের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন দায়িত্বরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল গেট বন্ধ করে দেন ভুক্তভোগী রিকশাচালকের স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে মূল গেট খুলে দেয়। এতে বিড়ম্বনার শিকার হয় করোনার ভ্যাকসিন নিতে আসা নারী ও পুরুষরা।
ভুক্তভোগীর স্বজন জায়দুর রহমান জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রিকশা ভাড়া করে হালিমা নামের এক যাত্রী রিকশায় উঠেন। রিকশাচালক সাহানুর রহমান ওই যাত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে পৌঁছালে দায়িত্বরত পরিচ্ছন্নকর্মী অঞ্জন চন্দ্র দাস মুখে মাস্ক দিয়ে প্রবেশ করতে বলেন। কিন্তু রিকশাচালকের মুখে মাস্ক না থাকায় দ্রুত যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে ফেরত যেতে চান। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাহানুরকে গাছের ডাল দিয়ে সজোড়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন অঞ্জন চন্দ্র। এতে মাথা ফেটে যায় রিকশাচালকের। রক্তাক্ত অবস্থায় রিকশাচালক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আহত রিকশাচালকের স্বজনরা জড়ো হয়ে হাসপাতালের গেটে অবস্থান নেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী অঞ্জন চন্দ্র দাসের শাস্তি চেয়ে মূল গেট বন্ধ করে দিয়ে ভিড় জমান রিকশাচালকের স্বজনসহ চিকিৎসা নিতে আসার নারী ও পুরুষরা।
এ সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মী অঞ্জন চন্দ্র দাস ভয়ে আত্মগোপন করেন। আহত রিকশাচালকের বাড়ি ফুলবাড়ী উপজেলার কবির মামুদ গ্রামে।
আহত রিকশাচালকের মা আম্বিয়া বেওয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। তাতে ছেলেটার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। ১০-১২টা সেলাই দিতে হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাসলিমা নাসরিন জানান, মুখে মাস্ক পরা না পরাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল গেটে মারামারি হয়েছে। রিকশাচালক সাহানুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথা ফেটে গেছে। সেলাই দেওয়া হয়েছে আটটি। রিকশাচালক বমিও করেছেন। এ জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।