মিজান-বাছিরের বিরুদ্ধে আরও একজনের সাক্ষ্য
৪০ লাখ টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আরও একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন এনামুল হক। এরপরে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তীতে সাক্ষ্যের জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্যা ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে, মিজান দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেতে বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন ডিআইজি মিজান। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের নারী সংবাদ উপস্থাপককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়।
এ ছাড়া, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে জোর করে এক নারীকে বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে জুলাই মাসে ২৫ বছর বয়সী ওই নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন মিজান। পরে, তিনি ওই নারীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন এবং তিন সপ্তাহ পর্যন্ত জেলে রেখেছিলেন।
গত বছরের ২৪ জুন অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগপত্র অনুসারে, মিজানের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পেয়েছে দুদক।