মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিলে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। ফলে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে এ মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও সগীর হোসেন লিয়ন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আয়কর পরিশোধ নিয়ে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় মির্জা আব্বাসের দণ্ড হয়। আপিলের পর সেই দণ্ডের রায় বাতিল হয় এবং তিনি খালাস পান। একই রকম ফ্যাক্টসে দুদক একটি মামলা করে। আমরা বলেছি, একই বিষয়ে দুইবার মামলা চলতে পারে না। বিচারিক আদালত আবেদন খারিজের পর হাইকোর্টে আবেদন করি। এরপর হাইকোর্ট বিভাগেও আবেদন খারিজ হয়। পরে আপিল বিভাগে পুনর্বিবেচনার আবেদন করি। আপিল বিভাগও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮১ টাকা তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল আলম ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রমনা থানায় মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।