মুন্সীগঞ্জে লকডাউন উপেক্ষার হিড়িক, শিমুলিয়ায় যাত্রীর চাপ
করোনার সংক্রমণ রোধে সাত জেলায় নয় দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে মুন্সীগঞ্জে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষার হিড়িক পড়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রবেশ মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট থাকলেও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে অবাধে চলাচল করছে মানুষ। শপিংমল, দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা কার্যকর হচ্ছে না।
এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলে সচল রয়েছে ফেরি। এসব ফেরিতে জরুরি ও নিত্যপণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের নির্দেশনা থাকলেও যাত্রীরা মানছে না সেই নিয়ম। আজ বুধবার সকাল থেকে শত শত যাত্রীকে ফেরিতে করে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে। যাত্রীদের অবাধ পারাপারে ঘাট এলাকায় যেন শিথিল হয়ে পড়েছে লকডাউন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে বর্তমানে ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। এসব ফেরি দিয়ে দিয়ে শুধু কাঁচামাল, পণ্যবাহী গাড়ি ও জরুরি রোগীবাহী গাড়ি পার করার নির্দেশনা রয়েছে। তবে প্রতিটি ফেরিতেই সাধারণ যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব শুধু ফেরি পরিচালনা করা। যাত্রী আসা নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের দায়িত্বের আওতায় পড়ে না।’
লকডাউনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, লকডাউনের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও খাদ্যদ্রব্য ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো ধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলবে না। জেলার ১০টি প্রবেশ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট থাকবে। কারখানা খোলা রয়েছে, শ্রমিকরা হেঁটে অথবা নিজস্ব উপায়ে কর্মস্থলে যেতে পারবেন। লকডাউন বাস্তবায়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তদারকি থাকবে, কেউ নিয়ম অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদলতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।