মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত হতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
মুসলিম উম্মাহর গৌরবময় ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিতে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনলোজির (আইইউটি) গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনলোজি (আইইউটি) এর ৩৪তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
ড. মোমেন মুসলিম উম্মাহ ও মানবজাতির কল্যাণে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করতে গ্রাজুয়েটদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আপনাদের কাজের মাধ্যমেই বিশ্ববাসীকে জানবে— মুসলিম সম্প্রদায় এখনো জ্ঞানের আলোকবর্তিকা ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।”
অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি) এর অর্থায়নে পরিচালিত আইইউটির মূল উদ্দেশ্য হলো; সদস্য দেশগুলোর মানবসম্পদ উন্নয়নে, বিশেষ করে, প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষায় সহযোগিতা করা।
মুসলমানদের গৌরবময় ইতিহাস স্মরণ করে ড. মোমেন বলেন, ইসলামের স্বর্ণযুগে বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্যে মুসলমান পণ্ডিতগণ আধুনিক সভ্যতার বিকাশে অবদান রেখেছেন।
তিনি ইসলাম বিদ্বেষমূলক অপপ্রচারের বিষয়ে বলেন, আমরা (মুসলিমরা) সন্ত্রাসী নই। তিনি মুসলমানদের মর্যাদা ও সুনাম বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে নতুন প্রজন্মের প্রতি অনুরোধ জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসিতে যোগদান করেছিল।
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও একাডেমিক কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইইউটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে আইইউটিকে সবধরনের অব্যাহত সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। আইইউটির এ সমাবর্তনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্নকারীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন এবং একাডেমিক ফলাফলে উৎকর্ষতার জন্য শিক্ষার্থীদের ওআইসি এবং আইইউটি মেডেল প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ. আব্দুর রাজ্জাক, আইইউটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ওআইসির প্রতিনিধিবৃন্দ, ডিপ্লোমেটিক কোরের সদস্যবৃন্দ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ এবং আইইউটির শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।