মেঘনায় বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবি : এখনো নিখোঁজ ৮
নোয়াখালী হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো আটজন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে ডুবুরীদলের সঙ্গে নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ড যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানান হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, গতকালের ট্রলারডুবির ঘটনায় অনেকে সাঁতরে নদীর তীরে উঠে আসে। বাকিদের স্থানীয় জনতা, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এখনো আটজন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, হাতিয়ার ইউএনও ইমরান হোসেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন নববধূ তাছলিমা আকতার (২১), আফরিনা আকতার লামিয়া (২), আসমা বেগম (১৯), লিলি আকতার (৮), হোসনে আরা রূপা (৫), রাহেনা বেগম (৩০) ও নুরজাহান বেগম (৬৫)। নববধূ তাছলিমা হাতিয়া চানন্দী ইউনিয়নের ইব্রাহীমের মেয়ে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাতিয়ার চানন্দী ঘাট থেকে ঢালচরগামী বরযাত্রীবাহী ট্রলারটি মাঝ নদীতে এলে স্রোতের কবলে পড়ে উল্টে ডুবে যায়। এতে নববধূ ও তিন শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয় এবং আটজন নিখোঁজ হয়। তবে বর শরীফ উদ্দিনকে (২৫) মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বরের বাড়ি হাতিয়া উপজেলা সুখচর ইউনিয়নের ঢালচর এলাকায়।