মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় হচ্ছে পুলিশের নতুন ইউনিট
পুলিশ বাহিনীর নতুন একটি ইউনিট গঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার ইউনিট গঠনের অনুমোদনও দিয়েছে। এই ইউনিটের নাম হবে, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পুলিশ। মেট্রোরেলের শৃঙ্খলা রক্ষা, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে পুলিশের এই ইউনিট। শিগগিরই ২৩১ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করবে এমআরটি পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য এমআরটি পুলিশ গঠন করা হবে। ইতোমধ্যেই প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির কাঠামো ও প্রয়োজনীয় পদ অনুমোদনের সুপারিশ করেছে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশের সদর দপ্তর থেকে এমআরটি পুলিশ গঠনের জন্য একটি প্রস্তাব তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর ৩৫৭ জনবলের সুপারিশ করে সচিব কমিটিতে জমা দেওয়া হয়। সচিব কমিটি ২৩১ জন জনবল অনুমোদন দিয়ে সুপারিশ করে।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করেন। ওদিন তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণিপেশার দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন। এর একদিন পর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ যাত্রীদের পরিবহণের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয় মেট্রোরেল। শুরু থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা বিরতিহীনভাবে চলাচল করছিল মেট্রোরেল।
মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিনই চালু হয় উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশন দুটি। এরপর একেএকে আরও দুটি স্টেশন চালু হয়। এর মধ্যে গত ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন ও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেশন এবং ১ মার্চ পঞ্চম স্টেশন হিসেবে চালু হয় ব্যস্ততম মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন।
গত ১৫ মার্চ মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১১ নম্বর স্টেশন দুটিও চালু হয়। সবশেষ গত ৩১ মার্চ মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন দুটিও খুলে দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশনই যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হয়।