মেট্রোরেলে ঢিল : গ্রেপ্তার হয়নি কেউ
মেট্রোরেলের জানালায় ঢিল ছুড়ে কাঁচ ভাঙার ঘটনার চারদিনেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় করা মামলায় অজ্ঞতনামা কোনো আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি এখনও।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পুলিশসহ অনেক সংস্থা এ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা কাজীপাড়া থেকে শ্যাওড়াপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানের অনেকগুলো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এসব ফুটেজ আমরা বিশ্লেষণ করছি। স্থানীয় কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গত ৩০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাজীপাড়া থেকে শ্যাওড়াপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানের কোনো এক জায়গা থেকে মেট্রোরেলে ঢিল ছোড়া হয়। এতে জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় কাফরুল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ঢাকা মেট্রোরেল লাইন-৬ এর সহকারী ব্যবস্থাপক (লাইন অপারেশন) মো. সামিউল কাদির। আসামি অজ্ঞাত।
এজাহারে বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে স্টেশন কন্ট্রোলারের (মিরপুর-১০) মাধ্যমে সামিউল জানতে পারেন, আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তরগামী মেট্রো ট্রেন কাজীপাড়া স্টেশনে প্রবেশের পূর্ব মুহূর্তে স্টেশনের পূর্ব কাজীপাড়ার পূর্বপাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের কেউ বা কয়েকজন মেট্রোরেলে ঢিল ছোড়ে। মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্য ঢিল ছোড়া করা হয়। এতে মেট্রোরেলের একটি জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এতে ক্ষতির পরিমাণ অনুমানিক ১০ লাখ টাকা।
এজাহারে আরও বলা হয়, এই মামলার বাদী তাৎক্ষণিকভাবে কাজীপাড়া স্টেশনে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করেন। তিনি একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও মেট্রো ট্রেনের কর্মচারীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, গত ৩০ এপ্রিল বেলা আনুমানিক ১১টা ৫ মিনিটের দিকে কাফরুল থানার কাজীপাড়া স্টেশনে প্রবেশের মুখে (পূর্বপাশ) রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর অজ্ঞাতপরিচয় আসামি বা আসামিরা পূর্ব পাশ থেকে ঢিল ছোড়ে উত্তরা উত্তরগামী মেট্রো ট্রেনের (রেক-৪) তৃতীয় কোচের জানালার একটি গ্লাস ভেঙে ফেলে। এরপর বাদী বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
গত মঙ্গলবার (২ মে) সকালে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঢিল ছোড়ার ঘটনায় যিনি বা যারা জড়িত, তাদের ধরতে পুলিশ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) আরও কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে। দ্রুতই আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করে ফেলব বলে আশা করছি।’