মেয়রের ছেলের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরকে লাঞ্ছনার অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালামের ছেলে মানিকের নেতৃত্বে এক নারী কাউন্সিলরকে লাঞ্ছনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মিরকাদিম পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর হাসিনা পারভীন। গত সোমবার রাতে মিরকাদিম এলাকায় এক বিচার সালিশে বাক-বিতণ্ডার পর বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে মেয়রের ছেলে মানিক অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এসব অভিযোগের পেছনে প্রতিপক্ষের ইন্ধন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা পারভীন বলেন, ‘গত সোমবার রাতে মিরকাদিমের উত্তর রামগোপালপুর এলাকায় সুমন হাজীর বাড়িতে একটি বিচার সালিশে যাই। সেখানে ন্যায্য কথা বলি। পরে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসতে চাইলে বিচারের একপক্ষের মেয়ের ভাই রন্টি ও পৌর মেয়রের ছেলে মানিক আমাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে এবং আমার বোরকা টেনে ছিঁড়ে ফেলে। আমার ছেলে রাজু, বদরুদ্দোজা ও স্বামী কালু মিয়া আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। মারধরে মেয়রের ছেলে মানিকের সঙ্গে অংশ নেয় লিমন (২৬), মাইন উদ্দিন(৩৬), নিবিড় (২৩) ও রিংকুসহ মেয়রের আরেক ছেলে পাপ্পু। আমি বাঁচার জন্য চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন আমাকে এবং আমার দুই ছেলে ও স্বামীকে উদ্ধার করে।’
হাসিনা পারভীন আরও বলেন, ‘ন্যায্য কথা বলায় আমাকে নির্যাতনের শিকার হতে হলো। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিচারের আশ্বাস দেওয়ায় আমি অপেক্ষায় ছিলাম। কেউ আমাকে সাহায্য করেনি। আমি রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাই।’
এদিকে অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করে মেয়র আব্দুস সালামের ছেলে মানিক বলেন, ‘সেদিন বিচারে হাসিনা পারভীনের ছেলে রাজু মদ্যপ ছিল। তারা এসে পঞ্চায়তের ওপর উলটা-পালটা কথা বলছিল। আমার ভাই পাপ্পু সেখানে ছিল না। পঞ্চায়তের সঙ্গে তাদের গোলমালের খবর শুনে আমি সেখানে যাই। এ সময় রাজু মাতাল অবস্থায় আমাকে চিনতে না পরে গায়ে হাত তোলে। উপস্থিত লোকজন তাকে সরিয়ে নেয়। তার বড় ভাই আমার কাছে এ বিষয়ে মাফও চেয়েছে। এখন তারা আমার বাবার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে আমাদের হেয় করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে।’