মেয়রের বিরুদ্ধে সাবেক মেয়রের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার মেয়র (সাবেক) বেগম আশানুর বিশ্বাসের কাছে চাঁদা দাবি ও পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বর্তমান মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে।
আজ বুধবার সাবেক মেয়র ও বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ আবারও পেছানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ দ্রুতবিচার আদালতের পেশকার মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ মামলার বাদী ও সাক্ষীদের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাক্ষীরা না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হবে।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সাজ্জাদুল হক রেজা (বর্তমান বেলকুচি পৌরসভার মেয়র) তার সহযোগীদের নিয়ে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র (সাবেক) আশানুর বিশ্বাসের কাছে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর দুপুরে বেলকুচি পৌরসভা সভাকক্ষে কর্মশালা বিষয়ক আলোচনা সভা চলাকালে সাজ্জাদুল হক রেজার নেতৃত্বে তার সহযোগী ফারুক সরকার, পাপ্পু, আরমান, রানা, সেরাজুল ইসলাম, সোহাগ, রাব্বি, রিয়াদ, রুবেল, রমজান, আল-আমিন, শরিফ, নয়ন, আলমসহ আরও ১০ থেকে ১২ জন হাতে পিস্তল, রাম দা, হোরা, লোহার রড, লোহার পাইপ, লাঠি নিয়ে পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আশানুর বিশ্বাসের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবি করা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পৌরসভা কার্যালয়ের জানালা, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় মেয়র (সাবেক) আশানুর বিশ্বাস বাদী হয়ে সাজ্জাদুল হক রেজা (বর্তমান মেয়র), তার সহযোগী ফারুক সরকার, পাপ্পু, আরমান, রানা, সেরাজুল ইসলাম, সোহাগ, রাব্বি, রিয়াদ, রুবেল, রমজান, আল-আমিন, শরিফ, নয়ন, আলমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রুতবিচার আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলকুচি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম রেজা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক রওশন আলী।