মেয়র আতিকুলকে সংবর্ধনা দিলেন জবি বিএনসিসির এক্স-ক্যাডেটরা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামকে সংবর্ধনা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এক্স-ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার (১৩ মে) রাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন মিলনায়তনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এক্স-ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এক্স-ক্যাডেট (১৯৭৯ ব্যাচ) ছিলেন। তিনি এখন এই সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শুরুতে রেজিস্ট্রেশন করে সাবেক ক্যাডেট সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন। পরে ক্যাডেটরা তাদের পরিচয় দিয়ে বর্তমান কর্মস্থল বিষয়ে জানান। অনুষ্ঠানের সাবেক ক্যাডেট ও সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের সম্মাননা দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকার সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) ক্যাডেট সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, একজন ক্যাডেট সবসময় ক্যাডেট হিসেবেই জীবনযাপন করেন। তারা সামাজিক কাজে যুক্ত থাকবেন। ঢাকার সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে ক্যাডেট সদস্যরা কাজ করতে পারেন, দায়িত্ব নিতে পারেন। অন্তত একটি করে গাছের দেখভালের দায়িত্ব নিতে পারেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্প্রতি আমরা দুই লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়েছি। আমাদের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব ডিএনসিসি নিতে পারে। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি ঢাকার খাল, জলাশয়ের পাড়ে ফলের গাছ লাগাবো। যাতে নগরের মানুষ ফল খেতে পারে। আর সড়ক বিভাজনে এমন গাছ লাগাবো, যে গাছে বেশি ছায়া দেয় এবং গাছের ফল পাখি খায় ও পাখির বাসা তৈরি করতে সুবিধা এমন গাছ লাগাবো। আমাদের এমন কার্যক্রমে সাবেক ক্যাডেট সদস্যদের সহযোগিতা চাই। তারা ঢাকাকে হিট আইল্যান্ড থেকে রক্ষায় উদ্যোগ নিতে পারেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে রূপান্তর করার চেষ্টা করছি। সংকটেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন অনেক। গবেষণায় গুরুত্ব পাচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে সুযোগ-সুবিধায় পিছিয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে কাজ করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসলে অনুভূতি কাজ করে। নাম রক্ষায় কাজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিএনসিসির সদস্যদের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিএনসিসির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হানিফুর রহমান। এতে দুই শতাধিক সাবেক ক্যাডেট সদস্য অংশ নেন।